হাসান তারেক মুকিম :

রামুতে টমটম চালক, মসজিদের হুজুর, সেলুন , দর্জি ও ফার্নিচার শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)প্রণয় চাকমা। ৪মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে সামাজিক দুরত্ব বজার রেখে অসহায়দের মাঝে এ ত্রান বিতরন করা হয়।

ত্রান বিতরনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, সার্বিকভাবে আমরা উপজেলা প্রশাসন মাঠে আছি। সকল স্থরের মানুষের জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা আমাদের ত্রান কার্যক্রম অব্যহত রেখেছি। দয়া করে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর ত্রান উপহার আমরা প্রত্যেকের দুযারে দুয়ারে পৌঁছাতে পারব। আশা রাখছি এই ত্রান সরবরাহ চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের ত্রানের কোন প্রকার ঘাটতি থাকবেনা। আর্ত মানবতার সেবায় রামু উপজেলা প্রশাসন সবসময় মানুষের পাশে আছে।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলতে কার্যাদি পালনে মসজিদের হুজুরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে করোনার ব্যাপ্তি ৪র্থ পর্যায়ে । এই পর্যায়ে করোনার বিস্তার যদি বৃদ্ধি পায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়াবে। তাই এই সময়টাকে আমাদের খুব সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হবে। তিনি সমজিদ মন্দিরের দায়িত্বশীলদের পরিস্কার পরিচন্ন রাখতে প্রয়োজনে ব্লিচিং মিশ্রিত পানি দিয়ে নিয়মিত ধোয়া মোচা করার অনুরোধ জানান।

তিনি টমটম চালকদের আপাতত যান চলাচল বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, টমটম চালকেরা প্রত্যেকেই গরীব। যেহেতু তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে।পেঠের দায়ে অনেকে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে চায়। এক্ষেত্রে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন সাথে সাথে আপনাদের ত্রান সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে। তারপরও যদি বিশেষ মুহুর্তে হাসপাতাল, ব্যাংক বা অন্য কোথাও যাওয়া লাগে তাহলে সর্বোচ্চ ৩ জন যাত্রী উঠাবেন। এসময় তিনি এলাকার বিত্তশালীদের কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান করেন। ত্রান বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)প্রণয় চাকমা, উপজেলা উপপ্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন খান, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান, এনজিও কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার একই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় রামু রশিদনগর নাজেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে উক্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড়ের কর্মহীন হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন ইউএনও প্রণয় চাকমা।